সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম কি জানুন সকল তথ্য

সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম না জানলে কিন্তু আপনি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন না। সোনালী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কিভাবে খোলা যায় প্রথমত ঘরে বসে দ্বিতীয়ত সোনালী ব্যাংকের কোন পয়েন্টে অথবা ব্রাঞ্চ এগিয়ে। সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম আজকে আমি আলোচনা করেছি।
সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম কি
আপনি যদি সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খুলতে চান তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন এটি আপনার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং সোনালী ব্যাংক একাউন্ট সম্পর্কে অন্যান্য তথ্য।

সূচিপত্র - সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

ভূমিকা -সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

আমি যখন কোন ব্যাংক সম্পর্কে জানতাম না তখন আমিও আপনাদের মত সার্চ করতাম সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম বা ব্যাংকের নাম এরপর একাউন্ট খোলার নাম কি এবং কি কি কাগজ প্রয়োজন হয় ইত্যাদি। কিন্তু আমি অনলাইন থেকে তথ্য পেলেও তেমনভাবে বুঝতে পারতাম না কারণ সেখানে তেমনভাবে সাজানো হতো না তেমন ভালোভাবে বোঝানো হতো না।

আপনি হয়তো আমার মতন এখন জানতে চান। এইজন্য আমি আমার বাস্তব অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করব। আমরা ইতিমধ্যে আপনাকে জানিয়েছি সোনালী ব্যাংক একাউন্ট কিভাবে খোলা যায় প্রথমটি অনলাইনে এবং দ্বিতীয়টি সোনালী ব্যাংকের কোন অফিসে গিয়ে।

আপনি যদি সোনালী ব্যাংক একাউন্ট সম্পর্কে তেমন কিছু না জেনে থাকেন তাহলে আপনার উচিত আপনি আপনার নিকটস্থ কোন সোনালী ব্যাংকের অফিসে গিয়ে তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত জানতে চেয়ে আপনি অ্যাকাউন্ট করতে চাইবেন। চলুন আপনাকে আমরা কিছু ধারনা দেই যাতে করে আপনি খুব সহজেই সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট তৈরি করতে পারেন।

সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
সোনালী ব্যাংক একাউন্ট যেহেতু দুইভাবে খোলা যায় সেক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চান নাকি সরাসরি অফিসে গিয়ে একাউন্ট খুলতে চান। আমরা দুইটা নিয়মে আলোচনা করব যাতে করে আপনি ঘরে বসেও খুব সহজে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করতে পারেন এবং অফিসে গিয়েও তাদের কাছ থেকে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলে নিতে পারেন।

প্রথমত আপনি যদি অনলাইনে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে না চান তাহলে প্রথমে আপনার নিকটস্থ ব্রাঞ্চে যান। সোনালী ব্যাংকের কোন অফিসে যাওয়ার আগে কিছু কাগজ প্রয়োজন হয়। যেমন: ভোটার আইডি কার্ড, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, নোমিনের ছবি ইত্যাদি। সোনালী ব্যাংকের অফিসে যাওয়ার আগে আপনি সেই কাগজগুলো সংগ্রহ করবেন। সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য আর কি কি কাগজের সঙ্গে রাখবেন সেগুলোর নিচে দেওয়া হয়েছে।


আপনার কাগজ যদি সমস্ত কিছু প্রস্তুত থাকে তাহলে সেই কাগজগুলো নিয়ে আপনি আপনার নিকটস্থ কোন সোনালী ব্যাংকের অফিসে গিয়ে তাদেরকে বলবেন আপনি একটি একাউন্ট তৈরি করতে চান। এরপর সোনালী ব্যাংক একাউন্টের যেহেতু কিছু ধরুন রয়েছে আপনি কোন অ্যাকাউন্ট খুলতে চান সেটি তাদেরকে জানাবেন। সোনালী ব্যাংক একাউন্টের ধরন নিচে দেওয়া হয়েছে।

আপনি তাদেরকে অ্যাকাউন্ট খোলার কথা বললে তারাই আপনাকে সহযোগিতা করবে। অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কোন প্রকার অর্থের প্রয়োজন হয় না। ফ্রিতে এই সোনালী ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট তৈরি করা যায়। তাহলে বুঝতেই পারছেন সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য সর্ব প্রথমে আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজ সংগ্রহ করতে হবে। এরপর সেই কাগজগুলো নিয়ে নিকটস্থ সোনালী ব্যাংকের অফিসে গিয়ে তাদেরকে বলতে হবে! আমি আপনাদের সোনালী ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে চাই।

আপনি চাইলে ম্যানুয়ালি কোন প্রকার সোনালী ব্যাংক একাউন্ট না খুলে অনলাইন এর মাধ্যমেও খুলতে পারবেন। অনলাইনের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য কিছু নিয়ম রয়েছে। কিভাবে অনলাইনে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হয় সেটি আমরা নিচে তুলে ধরেছি ধাপে ধাপে। আপনি যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে খুব সহজেই নিজেই ঘরে বসে একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।

উপরোক্ত এই প্রসেস অনুসরণ করলেই খুব সহজেই সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। সোনালী ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করার জন্য নিচের বিষয়গুলো আপনার জেনে রাখা উচিত।

সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি কাগজ লাগে

সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি কাগজ লাগে
সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়মের মধ্যে আমরা জানিয়েছি সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হলে আপনার বেশ কিছু কাগজ বা ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন হবে। যে কাগজগুলো সঙ্গে নিয়ে আপনার নিকটস্থ কোন সোনালী ব্যাংকের অফিসে গেলেই আপনাকে একটি একাউন্ট তৈরি করে দিবে। সোনালী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে কি কি কাগজ লাগে সেগুলো নিচে দেওয়া হল।
  1. জাতীয় পরিচয় পত্র / জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি।
  2. সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  3. বাসা বাড়ির বিদ্যুৎ বিলের অথবা গ্যাস বিল এর ফটোকপি।
  4. নমিনির জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
  5. নমিনির সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
উপরোক্ত এই কাগজগুলোর সঙ্গে থাকলে আপনারা খুব সহজেই সোনালী ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। আপনারা হয়তো নমিনি মানে এখনো বুঝতে পারেননি। এইজন্য অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে নমিনি কি? এ কারণে নিচে নমিনি সম্পর্কে দেওয়া হলো।

ব্যাংক একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে নমিনি কি?

ব্যাংক একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে নমিনি কি?
ব্যাংক একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে নমিনি হলেন সেই ব্যক্তি যে একাউন্টেরধারীর মৃত্যু হয়ে গেলে নমিনি সেই অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এক কথায় বলতে গেলে অ্যাকাউন্ট যার নামে খোলা আছে তার অবর্তমানে নমিনি সেখান থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

তবে অ্যাকাউন্ট নারীর আবর্তমানে যদি ন মিনিট টাকা উত্তোলন করতে চাই সে ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম রয়েছে যে নিয়মগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে সেখান থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এজন্য নমিনি এমন কাউকে করা উচিত যিনি বিশ্বস্ত। আপনারা চাইলে আপনার বাবা-মা বউ অথবা আপনাদের সন্তানদেরকেও নমিনি করতে পারেন।


আপনার ব্যাংক একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে কাকে নমিনি করবেন এটি সম্পূর্ণ আপনাদের বিষয়। আশা টুকু এই তথ্য দিয়ে বুঝতে পেরেছেন কাকে নমিনি করার দরকার। আশা করি আপনি এখন কাকে নমিনি করবেন এটির সিদ্ধান্ত নিজেই সহজেই নিতে পারবেন।

সোনালী ব্যাংক একাউন্টের ধরন ও সুযোগ সুবিধা

সোনালী ব্যাংক একাউন্টের ধরন ও সুযোগ সুবিধা
আপনি যদি সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চান তাহলে কোন অ্যাকাউন্টটি খুলতে চান সেটি আপনাকে জানতে হবে। কারণ গ্রাহকদেরকে সুবিধা দেওয়ার জন্য সোনালী ব্যাংক বিভিন্নভাবে একাউন্টের ধরন গুলো ডিজাইন করেছে। যেমন কিছু কিছু অ্যাকাউন্ট এর কম লিমিট রয়েছে আবার কিছু কিছু একাউন্টের অনেক বেশি লিমিট রয়েছে।

সোনালী ব্যাংক এই একাউন্ট গুলোর মধ্যে একেক একাউন্টে একেক ধরনের সুবিধা প্রদান করে থাকেন। সোনালী ব্যাংক গ্রাহকদের প্রয়োজন অনুযায়ী একাউন্ট গুলো ডিজাইন করেছে। যেমন: কারেন্ট একাউন্ট, সে সেভিংস একাউন্ট, স্টুডেন্ট একাউন্ট, ডিপোজিট একাউন্ট ইত্যাদি। সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম জানার সাথে সাথে আপনার এ সকল তথ্য জেনে রাখা উচিত।

সোনালী ব্যাংক একাউন্ট গুলো সাধারণত এই কয় ভাগে বিভক্ত:

কারেন্ট একাউন্ট

কারেন্ট একাউন্ট ব্যবসায়ীদের জন্য এবং ফ্রিল্যান্সারদের জন্য এবং যারা অনেক বেশি টাকা লেনদেন করে দেয় তাদের জন্য খুবই সুবিধা জনক। কারণ এই কারেন্ট একাউন্টের লিমিট অনেক বেশি গ্রাহকরা চাইলেই এখান থেকে ইচ্ছে মতন টাকা বের করতে পারে। অন্যান্য অ্যাকাউন্টের থেকে এই একাউন্টে অনেক বেশি টাকা লেনদেন করা যায়।

সোনালী ব্যাংকের কারেন্ট একাউন্টে কোন প্রকার সুদ প্রদান করা হয় না। আপনি যদি কোন প্রতিষ্ঠানের টাকা লেনদেন করতে চান অথবা বড় অংকের টাকা লেনদেন করতে চান তাহলে আপনার কারেন্ট একাউন্ট খোলা উচিত। এই কারেন্ট একাউন্টে চেক বই, বিভিন্ন কার্ড এবং আরো অন্যান্য সুবিধা পাবেন, যা আপনি অন্য কোন একাউন্টে পাবেন না।

সেভিংস একাউন্ট

সেভিংস একাউন্ট প্রত্যেকের জন্যই ভালো। সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ধারী ব্যক্তি কখনোই ইচ্ছে মতন লিমিটেড বাহিরে টাকা লেনদেন করতে পারে না। সোনালী ব্যাংকের সেভিংস একাউন্টের মধ্যে টাকা লেনদেন করার ক্ষেত্রে কিছু লিমিট রয়েছে। তবে যে লিমিট রয়েছে তা প্রতিদিন মানুষের চাহিদা অনুযায়ী পারফেক্ট।

সোনালী ব্যাংকের সেভিংস একাউন্ট ছাত্র গৃহিণী কৃষক চাকরিজীবী অন্যান্য সবার জন্য উপযুক্ত। এখানে টাকা জমা রাখলে সুদ পাওয়া যেতে পারে। সোনালী ব্যাংক নিয়ম অনুসারে। সোনালী ব্যাংকের সেভিংস একাউন্ট এর মধ্যেও চেক বই এটিএম কার্ডের সুবিধা পাওয়া যায়।

ডিপোজিট একাউন্ট

ডিপোজিট একাউন্ট মূলত তাদের জন্য যারা ব্যাংকে টাকা রাখতে চান এবং সেই টাকার উপরে কিছু সুদ পেতে চান। অ্যাকাউন্টে আপনি যখন টাকা রাখেন আপনি সেখানে মেয়াদের আগে উত্তোলন করতে পারেন না। যদি আপনি ডিপোজিট একাউন্টে টাকা রেখে, সময়ের আগেই টাকা উত্তোলন করেন তাহলে সেখান থেকে শুধু পেতেও পারেন নাও পেতে পারেন। তবে ডিপোজিট একাউন্টে টাকা রাখলে বেশ বড় পরিমাণ সুদ পাওয়া যায়।

তবে আপনি এখানে ইচ্ছামত সময় নির্ধারণ করে টাকা জমা রাখতে পারেন। যেমন আপনি এখানে তিন মাসের জন্য টাকা রাখতে পারেন ছয় মাসের জন্য টাকা রাখতে পারেন আবার চাইলে এক বছরের জন্য টাকা রাখতে পারেন। আপনি কত সময় ধরে আপনার ডিপোজিট একাউন্টে টাকা রাখবেন এবং সেই টাকার উপরে শুধু পাবেন সেটি আপনি নিজেই নির্ধারণ করতে পারেন।

সোনালী ব্যাংক একাউন্টে ধরন আপনি জানলেন। সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম গুলোর মধ্যে আপনি যদি সোনালী ব্যাংক একাউন্টের ধরন সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝে যান তাহলে আপনি নিজে ডিসাইড বা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কোন অ্যাকাউন্টটি আপনার জন্য উপযুক্ত। আপনার লেনদেনের ধরন অনুযায়ী আপনি আপনার লেনদেনের পরিমাণ অনুযায়ী আপনার ইচ্ছে মতন একটি অ্যাকাউন্ট বাছাই করে সেই অ্যাকাউন্টটি আপনি খুলতে পারেন।

অনলাইনে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

অনলাইনে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
যে কেউ চাইলে অনলাইনে ঘরে বসে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারেন। কেউ যদি সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চাই এবং সে যদি ঘরে বসে খুলতে চাই সোনালী ব্যাংকের কোন শাখায় না যেতে চাই তাহলে খুব সহজেই ঘরে বসে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবে।


অনলাইনে যদি কেউ সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চাই তাহলে যখন সে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করবে তখন হিসাবধারীকে সঙ্গে থাকতে হবে। এখন আমি আপনাদেরকে অ্যাপস ব্যবহার করে অনলাইনে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানাবো। অ্যাপস ব্যবহার করে অনলাইনে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য কিছু ধাপ রয়েছে। আপনি যে সোনালী ব্যাংকের ই-সেবা মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম দেওয়া হল।

অনলাইনে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি প্রয়োজন হয়

অনলাইনে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার ধাপ জানার আগে আপনার জানা উচিত, অনলাইনে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি প্রয়োজন হয় সেগুলো প্রথমে সংগ্রহ করা নিচে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী। নিচের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অনলাইনে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করা যাবে।
  • আপনার স্মার্ট ফোন এবং জাতীয় পরিচয় পত্র/জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট এর মূল কফি নিন।
  • আপনার ফোনে থাকা গুগল প্লে স্টোর থেকে “সোনালী ই-সেবা” (Sonali eShebe) অ্যাপটি ডাউনলোড ও ইন্সটল করুন।

অনলাইনে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার ধাপ

অনলাইনে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার ধাপ
“সোনালী ই-সেবা” হল সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন। যে অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে বাংলাদেশের নাগরিকরা চাইলেই ঘরে বসে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারেন। অনলাইনে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য নিচের ধাপ গুলো দেখুন।

ধাপ - ১: সোনালী সেবা অ্যাপস ওপেন করুন। হোম পেজ থেকে “ব্যাংক একাউন্ট খুলুন” অপশনে ক্লিক করুন।

ধাপ - ২: আপনার সচল মোবাইল নাম্বার দিন। আপনার ১১ ডিজিটের মোবাইল নাম্বার দিন এবং নিচে থাকা সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন। এরপর আপনি যে মোবাইল নাম্বারটা দিয়েছেন সেই মোবাইল নাম্বারে (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) ওটিপি না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

ধাপ - ৩: আপনি যে নাম্বারটা প্রদান করেছিলেন সেই নাম্বারে ওটিপি পাঠানো হয়েছে। সেই ছয় সংখ্যার ওটিপি এখানে ২ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে দিন।

ধাপ- ৪: জন্ম নিবন্ধন/জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাইকরণ।মোবাইল নাম্বার প্রদান যাচায় করা হলে সেই অ্যাপস এর মধ্যে ক্যামেরাটি চালু করে আপনার সেলফি তুলুন সেখানকার নির্দেশনা অনুযায়ী। এরপর সেখানে প্রথম ঘরে জন্ম তারিখ (বছর/মাস/দিন) দিন। এরপরে দ্বিতীয় ঘরে আপনার এনআইডি বা জাতীয় পরিচয় পত্রের ১৭ সংখ্যার নাম্বারটি দিন। আপনার কাছে যদি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকে তাহলে নিচে “জন্ম নিবন্ধন নাম্বার” ঘরে আপনার জন্ম নিবন্ধন নাম্বারটি দিন। সঠিক তথ্য প্রদান করে নিচে “তথ্য যাচাই করুন” বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ - ৫: মৌলিক তথ্য প্রদান করুন। জন্ম নিবন্ধন এবং জাতীয় পরিচয় পত্র ভালোভাবে যাচাই করা হয়ে গেলে আপনার বর্তমান ঠিকানা (গ্রাম/রাস্তা, পোস্ট অফিস, উপজেলা, থানা, জেলা, বিভাগ ) স্বামী/স্ত্রীর এর নাম লিখে “পরবর্তী” অপশনে ক্লিক করুন।

ধাপ - ৬: জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রথম পৃষ্ঠা এবং দ্বিতীয় পৃষ্ঠার ছবি তুলুন। এখানে ক্যামেরা আইকন এর উপরে ক্লিক করে জাতীয় পরিচয় পত্রের সামনের অংশ এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের পেছনে অংশের ছবি তুলুন এবং “পরবর্তী” অপশন এ ক্লিক করুন।

ধাপ - ৭: ব্যাংক ও নমনীয় তথ্য প্রদান করুন। এই অপশনে প্রথমেই ব্যাংকের তথ্য এর মধ্যে থাকা “ব্যাংক ব্রাঞ্চ সিলেক্ট করুন” আপনার কাছাকাছি যে সকল সোনালী ব্যাংকের ব্রাঞ্চ আছে সেই সকল ব্রাঞ্চের নাম দেখাবে আপনি সেখান থেকে আপনার পছন্দ মতো যে কোন একটি ব্রাঞ্চ নির্বাচন করুন।

“একাউন্ট টাইপ সিলেক্ট করুন” অপশন থেকে ড্রপ ডাউন ম্যানুতে ক্লিক করে আপনার অ্যাকাউন্ট টাইপ নির্বাচন করে নিন। এরপরে নমিনির তথ্য দিন। প্রথমেই “নমিনের নাম” বাটনে ক্লিক করে আপনি যাকে নমিনি করতে চান তার নাম দিন। এরপর “নমিনির সাথে সম্পর্ক” বাটনে ক্লিক করে যার নামে একাউন্ট তৈরি করা হচ্ছে তার সঙ্গে নমিনীর কি সম্পর্ক সেটি দিন। এবং সবার শেষে “নমিনিট এন আই ডি নাম্বার” বাটনে ক্লিক করে নমিনির জাতীয় পরিচয় পত্রর নাম্বার দিন। সঠিকভাবে সকল তথ্য প্রদান করে “অ্যাকাউন্ট খুলুন” বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ - ৮: সকল তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করলে আপনার একাউন্টে সঠিকভাবে খোলা হবে। অ্যাকাউন্ট খোলার শেষে আপনার ফোনে একটি এসএমএস পাঠানো হবে। আপনি যে মোবাইল নাম্বার প্রদান করেছিলেন সেই মোবাইল নাম্বারটা যে মেসেজটি আসবে সেই মেসেজটি সংগ্রহ করে রাখুন।

ধাপ - ৯ : অ্যাকাউন্ট খোলা সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আপনাকে তিন মাসের মধ্যে আপনার নিকটস্থ সোনালী ব্যাংক ব্রাঞ্চ এগিয়ে সব স্বাক্ষর এবং অন্যান্য তথ্য প্রদান করতে হবে। অ্যাকাউন্ট খোলার সঙ্গে সঙ্গে আপনি লেনদেন করতে পারবেন তবে তিন মাসের মধ্যে আপনাকে সোনালী ব্যাংকের যে কোন ব্রাঞ্চ এগিয়ে একাউন্টের সকল সুবিধা ভোগ করতে সেখানে স্বাক্ষর এবং অন্যান্য তথ্য প্রদান করে আসুন।


বিশেষ দ্রষ্টব্য: আপনি যখন সোনালী ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করবেন তখন কোন কিছুই বাংলাতে লিখবেন না। আপনার সকল তথ্য ইংরেজিতে প্রদান করবেন। তবে অ্যাকাউন্ট তৈরি করার আগে আপনি কোন একাউন্টে তৈরি করবেন এই জন্য সোনালী ব্যাংক একাউন্টের ধরন ও সুযোগ সুবিধা উপরে দেখে নিন।

উপসংহার - সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম কি সকল তথ্য আমরা আলোচনা করেছি। অফলাইনে এবং অনলাইনে কিভাবে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে ধাপে ধাপে আমরা তুলে ধরেছি। আপনি যদি সোনালী ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করতে চান আপনি যদি সোনালী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে কিছুই না জেনে থাকেন অথবা আপনি যদি অনেক কিছুই জেনে থাকেন তার পরেও এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এই আর্টিকেলটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই আর্টিকেলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া রয়েছে যেটি সবার জানা প্রয়োজন। সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে যদি আরো কোন কিছু জানার প্রয়োজন হয় বা আপনি জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার মূল্যবান মতামতি নিচে জানিয়ে দিবেন। নিচে শেয়ার অপশন থেকে এই আর্টিকেলটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে অথবা অন্যান্য জায়গাতে শেয়ার করুন যাতে করে অন্যরা এটি পড়ে উপকৃত হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইপয়েন্টইন নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url